ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর এটি ভারতের দ্রুততম সফর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সফরের সময়, দুটি দেশ মধ্যে বাণিজ্য, অভিবাসন, প্রতিরক্ষা এবং আঞ্চলিক ইস্যুসমূহ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
বিশেষভাবে, অভিবাসন ইস্যুটি গুরুত্ব পাচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে, ভারতীয় অভিবাসীদের বিশেষ করে এইচ-ওয়ান ভিসা সিস্টেম নিয়ে উদ্বেগ ছিল, তবে বর্তমানে ট্রাম্প দক্ষ জনবল চাচ্ছেন এবং ভারতীয় কোম্পানির প্রযুক্তি ও দক্ষ জনবল মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মোদি তার সফরের সময় এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তুলে ধরতে পারেন, বিশেষ করে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া এবং সেসময় অমানবিক আচরণ ঠেকানোর বিষয়ে।
অন্যদিকে, বাণিজ্য ইস্যুতে, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিশেষভাবে, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যগুলোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর, মোদি প্রশাসন শুল্ক মওকুফের বিষয়ে দাবি জানাতে পারেন। সেইসঙ্গে, প্রতিরক্ষা ও এলএনজি সংক্রান্ত চুক্তি নিয়েও আলোচনা হতে পারে, যা ভারতীয় জাতীয় স্বার্থের সাথে সংশ্লিষ্ট।
এছাড়া, ইরান এবং আফগানিস্তান সংক্রান্ত বিষয়গুলোও আলোচনা করা হতে পারে, কারণ ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের চাবাহার বন্দরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা ভারতের মধ্য এশিয়ার সাথে যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।